২০২২ এর জনপ্রিয় সেরা সিনেমাগুলো কেমন ছিলো
ভাবতে অবাক লাগলেও দেখতে দেখতেই বছরের অর্ধেকটা শেষ। তবে চলচ্চিত্র স্টুডিওগুলো কিন্তু বসে নেই। বছরের শেষ দ্বিতীয়ার্ধের জন্য সেরা সিনেমাগুলো একের পর এক উপহার দিয়ে যাচ্ছেন তারা। ২০২২ সালে এখন পর্যন্ত দেখার মতো অনেক সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। ব্লকবাস্টার থেকে শুরু করে মাইক্রো বাজেট, রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে ডকুমেন্টারি, হাস্যরসের ঝুলিতে ভরা মকুমেন্টারিসহ এত এত কিছু যে মুক্তি পেয়েছে আপনি দেখে শেষ করতে পারবেন না। তবে বাছাই করা সেরা কিছু সিনেমা, যেগুলো না দেখলেই নয়, তেমন ৫ টি ২০২২ সালের সেরা এবং জনপ্রিয় সিনেমা কেমন ছিলো তা নিয়ে আলোচনা করা হলো এখানে।
১. Top Gun: Maverick
মেঘের উপর ফাইটার প্লেনের উড়াউড়ি আর দারুণ সব এরিয়েল একশন সিকোয়েন্সের সময় এড্রেনালিন রাশের জন্য আপনি একে মিস দিতে চাইবেন না!
ক্যাপ্টেন ম্যাভরিক, প্রশিক্ষক হিসেবে যোগ দেন টপ গান এ। যেখান থেকে তার ক্যারিয়ারের শুরু। বারো জন তরুন পাইলটদের এক গোপন মিশনের জন্য তৈরী করতে হবে তাকে। প্রশিক্ষণের সময় মাত্র তিন সপ্তাহ। তিন সপ্তাহের মধ্যে এই পাইলটদের কঠিনতম প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরী করতে হবে ইম্পসিবল মিশনের জন্য। হয় মিশন সম্পূর্ণ করতে হবে নাহয় মরতে হবে! এই বারো তরুণ পাইলট কি পারবে সেটা করতে? প্রশিক্ষণে এসে পুরোনো স্মৃতি তাড়া করে ফেরে প্রশিক্ষক ম্যাভরিককে। পুরোনো ক্ষত জেগে উঠে নতুন করে।
একশন প্যাকড সাথে ইমোশনাল তারকা মেরে সার্ভ করা Top gun Maverick আপনাকে বিনোদিত করবে ষোলআনা। একশন সিনগুলো এত জীবন্ত এবং অনেক আসল লেগেছে দেখতে। কোন সিজিআইয়ের ব্যবহার ছাড়াই নাকি এসব সিন শ্যুটিং করা হয়েছে যেটা আপনাকে ভাবাতে বাধ্য করবে। যারা প্রথম কিস্তি দেখেননি তারাও সহজে অনুমান করতে পারবে আসলে কি ঘটেছিল পূর্বে। টম ক্রুজ ছাড়া অন্যান্য চরিত্রগুলোরও সুবিচার করা হয়েছে চরিত্রের সাথে। মিউজিক আর কস্টিউম ছিলো দেখার মতো। আর রঙ বিন্যাস নিয়ে অতিরিক্ত কিছু না বললেও চলে। দেখলে মনে হবে ম্যাভরিকের সাথে আপনিও উড়ছেন। ছত্রিশ বছর পর এমন একটা মুভির সিক্যুয়েল যা আপনার অবশ্যই দেখা উচিত।
২. The Batman
অন্ধকারাচ্ছন্ন রহস্যময় এক শহর, অন্যায়ের জন্মস্থান আর অপরাধীদের আঁতুড়ঘর, গোথাম সিটি। এই নোংরা অভিশপ্ত শহরের পোর্টেয়াল সম্ভবত সবচেয়ে মানানসই ছিলো এই সিনেমায়।
ওয়ান অফ দ্য বেস্ট সুপারহিরো ফিল্মস এভার মেইড। সোজা বাক্যে প্রশংসা করে শেষ করা যাবে না। প্রতিটা জায়গায় নিখুঁত ডেলিভারি। প্রথমত স্টোরি, কম্পলিটলি ডার্ক & গ্রিটি ক্রাইম-ড্রামা সিনেমার গল্প। ব্রুটাল সিরিয়াল কিলার, রিডলার সাথে গথাম সিটির সেইভিওর ডার্ক নাইট ব্যাটম্যান। আর এই ব্যাটম্যান গথামের বাচ্চা ব্রুস ওয়েনও না, ক্রিশ্চিয়ান বেল এর প্লে-বয় অ্যাডাল্ট ব্যাটম্যানও না কিংবা ২০ বছর সার্ভিস দেয়া বেন অ্যাফ্লেকের ওয়ান অফ দ্য মোস্ট সিনিয়ার & এক্সপেরিয়েন্সড ব্যাটম্যানও না; এটা ইয়ার ওয়ান এর সদ্য গথামে ফেরত ব্রুস ওয়েন।
বিদেশ থেকে বাড়ি ফিরে যদি দেখেন যেমনটা রেখে গিয়েছিলেন বাড়ির পরিবেশ, এখন তারচেয়েও খারাপ তখন আপনার মেজাজ যে সপ্তমে চড়বে তা খুব স্বাভাবিক। তার ওপরে নিউ জেনারেশনের ইয়াং ব্রুস ওয়েন, চরম ঘাড়ত্যাড়া এবং ইগ্নোরেন্ট, একই সাথে ভালনারেবল এন্ড নাইভ।
স্টোরির স্বাদ বাড়িয়েছে প্রথমবারের মতো ব্যাটম্যানের স্বশরীরে ক্রাইম সিনে গিয়ে ইনভেস্টিগেট করা। ডার্ক কালার গ্রেডিং যেনো ডিসির ইউনিক আইডেন্টিটি, চিরাচরিতভাবে সেই ধারা বজায় ছিলো এবারও। ম্যাট রিভস কে বেন অ্যাফ্লেকের সোলো ফিল্ম ডিরেক্ট করতে বলার পরে তিনি তা রিজেক্ট করে দেন কেনোনা স্ক্রিপ্ট কম্পলিটলি অ্যাকশন ড্রিভেন ছিলো এবং অ্যাকশনগুলোও সম্পূর্ণ সিজিআই বেইজড ছিলো।সেই বান্দা যখন নিজের ড্রিম প্রজেক্ট ডিরেক্ট করলো তখন যতটা সম্ভব সিজিআই কমিয়ে রিয়েলিস্টিক অ্যাকশন সিকুয়েন্স রাখার চেষ্টা করলো। এতটাই রিয়েল করতে চেয়েছে যে হলওয়ে-তে গান ফাইটের সিনটায় বিন্দুমাত্র সিজিআই ব্যবহার না করে আসল মাজল ফ্ল্যাশ দিয়ে শ্যুট করিয়েছেন ম্যাট রিভস।
সাথে জোয়ি ক্রাভিটযের ক্যাটওমেন-ও বেশ ইম্প্রেসিভ ছিলো। পল ডানো মুখ-মাথা ঢেকে যা খেল দেখালো, টম হার্ডি’র করা বেন এর পরে বেস্ট বলতেই হয়। দ্য ডার্ক নাইট এর পরে এটা এখন পর্যন্ত ২০২২ এর সেরা সিনেমা। যাকে ডিসির ব্যাটম্যানের জন্য আরেকটা মাইলফলক হিসেবেও চিহ্নিত করা যায়।
৩. The Northman
𝙎𝙩𝙧𝙞𝙠𝙚, 𝘽𝙧𝙤𝙩𝙝𝙚𝙧, 𝙎𝙩𝙧𝙞𝙠𝙚. 𝘽𝙪𝙩 𝙠𝙣𝙤𝙬 𝙩𝙝𝙖𝙩 𝙗𝙚𝙖𝙧𝙞𝙣𝙜 𝙖 𝙨𝙩𝙤𝙡𝙚𝙣 𝙧𝙞𝙣𝙜 𝙢𝙖𝙠𝙚𝙨 𝙣𝙤 𝙝𝙖𝙡𝙛-𝙗𝙧𝙚𝙚𝙙 𝙖 𝙠𝙞𝙣𝙜.
রাজা অরব্যান্ড তার ঘাতক ভাই ফিউলনেরকে এই কথা বলছিলেন যাকে তিনি অনেক বিশ্বাস করতেন। কিন্তু তার ভাই তাকে তার ছেলের সামনেই সিংহাসনের লোভে খুন করে। ভাইয়ের স্ত্রীকে কিডন্যাপ করে নেয় এবং তার ভাইয়ের ছেলে এমলেথকেও খুনের জন্য হত্যাকারী পাঠায়। হত্যাকারী ব্যর্থ হলেও তা ফিউলনারকে এসে জানায় সে এমলেথ কে মেরে সাগরে ভাসিয়ে দিয়েছে। ততক্ষণে এমলেথ একা একা বিশাল সাগরে নৌকা নিয়ে পাড়ি দেয় এবং প্রতিজ্ঞা করে,
𝙄 𝙬𝙞𝙡𝙡 𝙖𝙫𝙚𝙣𝙜𝙚 𝙮𝙤𝙪, 𝙛𝙖𝙩𝙝𝙚𝙧!
𝙄 𝙬𝙞𝙡𝙡 𝙨𝙖𝙫𝙚 𝙮𝙤𝙪, 𝙈𝙤𝙩𝙝𝙚𝙧!
𝙄 𝙬𝙞𝙡𝙡 𝙠𝙞𝙡𝙡 𝙮𝙤𝙪, 𝙁𝙟𝙤𝙡𝙣𝙞𝙧!
এই ঘটনার দুই যুগ পরে এমলেথ পরিণত হয় একজন অমানবিক, নিষ্ঠুর জলদস্যুতে। সে তার প্রতিজ্ঞা এর মাঝে ভুলে গেলেও একদিন স্লোভাকিয়ার এক গ্রামে ঘটনাক্রমে তার প্রতিজ্ঞার কথা মনে পড়ে যায়। এবং সে তার প্রতিজ্ঞা পূরণ করতে ক্রিতদাসের রূপে রাজা ফিউলনারের রাজ্যে চলে যায়। কিন্তু সে তো একা! আর তাকে লড়াই করতে হবে গোটা এক রাজ্যের রিরুদ্ধে! আদৌ কি সম্ভব তার প্রতিজ্ঞা পূরণ করাটা?
সিনেমার ঘটনাটির সময়কাল শুরু হয় ৮৯৫ খ্রিস্টাব্দের দিকে। তো সে সময়ের রাজাদের চলাচল, তাদের রাজ্য পরিচালনা, সাগর ভ্রমণ, দাস প্রথা এসব কিছু মিলেই ছিল পুরো মুভিটা।
যারা নর্স/নর্ডিক মাইথোলজি, নর্ডিক সসমাজব্যবস্থা কিংবা ভাইকিংসদের নিয়ে আগ্রহী তারা এই মুভিটা খুব ভালোভাবে উপভোগ করতে পারবেন।
সিনেমার দৃশ্যপট ছিল নরওয়ে, আইসল্যান্ড, স্লোভাকিয়াতে যার দৃশ্যগুলো ছিল দেখার মতন। ব্যাকগ্রাউন্ডে নর্ডিক মিউজিক, যা দিয়েছে আলাদা একটা অনুভূতি এবং এই মুভির ভিএফক্স, কালার গ্রেডিং পুরোটাই অভূতপূর্ব ছিলো।
সিনেমাটি ইতিমধ্যে অনেক প্রশংসিত হয়েছে এমনকি অনেকে এই মুভিটাকে গেইম অফ থ্রোন্স সিরিজের পর্যায়ের সিনেমা হিসেবে তুলনা করছেন।যারা এখনো সিনেমাটি দেখেনি তাদের জন্য অবশ্য দেখা একটি সিনেমা দ্য নর্থম্যান।
৪. Everything Everywhere All At Once
আপনি কী করবেন, যদি একদিন হঠাৎ করেই জানতে পারেন যে মাল্টিভার্স আসলে বাস্তবে বিদ্যমান। এবং শুধু তাই নয়, আপনাকে পুরো মাল্টিভার্স থেকে নির্বাচন করা হয়েছে ভয়ংকর এক ভিলেনের মোকাবেলা করে সম্পূর্ণ মাল্টিভার্স রক্ষা করার জন্য! এক ধাক্কায় এত বড় এক সত্যের সামনাসামনি হয়ে সব কিছু মেনে নেয়া কখনোই সহজ নয়। তার উপর যদি আপনি হয়ে থাকেন একজন মধ্য বয়সী চায়নিজ ইমিগ্র্যান্ট মা, নিজ জীবন স্যাক্রিফাই করে অনেক কষ্টে নিজের একটি লন্ড্রি চালান এবং বোকাসোকা একজন স্বামী ও রিবেলাস এক মেয়ে সন্তানকে ঘিরেই আপনার জীবন। তাহলে প্রথমে মনে প্রশ্ন জাগাটাই স্বাভাবিক যে কোনো একটা ভুল হচ্ছে এখানে নাহলে কিভাবে আপনাকে মাল্টিভার্স বাঁচানোর মিশনের মতো এতো বড় এক রেসপনসিবিলিটি দেয়া হচ্ছে, তাই না?
ঠিক এমনই এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এই সিনেমার প্রধান চরিত্র Evelyn এর সামনে। Everything Everywhere All at Once আপনাকে নিয়ে যাবে ইউনিক ও আশ্চর্যজনক একটি মাল্টিভার্সাল গল্পের ভেতর, যেখানে কল্পনাও করতে পারবেন না যে সামনে কি হতে যাচ্ছে। এই বছরের অন্যতম সেরা মুভি গুলোর মাঝে শীর্ষে এই মুভিটিকে রাখতে বাধ্য হবেন। এই মুভিতে একই সাথে কমেডি ও অ্যাডভেঞ্চারের থীমের সাথে মিশিয়ে রাখা হয়েছে পারিবারিক নানা সমস্যা ও জীবনে স্যাক্রিফাইসের পিছে বলি দেয়া নানা বাসনা গুলো। মুভির শেষে এতো সুন্দর একটি মেসেজ দেয়া হয়েছে যা দেখে মন ভরে উঠবেই।
শুরুতে মুভির কাহিনীটি বুঝতে কিছুটা কষ্ট হলেও তবে এটার পেছনের কারন হলো স্ক্রিপ্টটা খুবই ফাস্ট পেসড্ এবং কাস্ট মেম্বাররা এশিয়ান হবার কারনে তাদের অ্যাকসেন্টের সাথে সহজ হতে কিছু সময় লাগে। তবে সাবটাইটেল দিয়ে দেখলে এই সমস্যা হবেনা। একবার কাহিনীটি বোঝা শুরু করলে আপনি এই মুভি শেষ না করে উঠতে পারবেন না। এতো দারুণ ভাবে মাল্টিভার্স কনসেপ্টটা তুলে ধরেছে যে সেখানে কোনো রকম ভুল খুঁজে পাওয়া কঠিন। তাছাড়া মাল্টিভার্স বলতে আমরা যা বুঝি ঠিক সেই বিষয়টাকে এতো সুন্দর করে অনেকগুলো অলটারনেট রিয়ালিটির মাধ্যমে মাত্র ২ ঘন্টায় দেখিয়ে, প্রতিটি রিয়ালিটিতে Evelyn-এর ভিন্ন চরিত্র ও জীবন কাহিনী নিখুঁত ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যা সত্যিই প্রশংসনীয়। কিছু অল্টারনেট রিয়ালিটি আবার খুবই অবিশ্বাস্য ও কাহিনীতে হিউমারাস একটি টোন যোগ করে। তবে এই মুভিতে মাল্টিভার্সে ট্রাভেল করার মাধ্যম ও টেকনিকটি খুবই চমৎকার করে দেখানো হয়েছে।
খুব সহজেই যে কিছু গল্পে ইনভেস্ট করা যায়, Everything Everywhere All at Once মুভিটি তেমনই একটি সিনেমা। দেখার সময় টেরই পাবেন যে খুবই যত্ন করে স্ক্রিপ্টটা সাজানো হয়েছে যেখানে একটা সুপারহিরো ঘরানার কাহিনীর আড়ালে একটি পরিবারের নানা সমস্যাগুলো ও সেইসাথে পারিবারিক বন্ডিং নিয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিছু মেসেজ দেয়া হয়েছে। Evelyn-এর সাথে তার বাবার, স্বামীর ও মেয়ের তিনটি সম্পর্কেই খুবই চমৎকার ভাবে ফোকাস করা হয়েছে। এমনকি তার নিজের প্রতি যেই হতাশা গুলো আছে সেগুলোও অনেক ভালোভাবে দেখানো হয়েছে।
মুভিতে গ্রাফিক্স ও অ্যাকশনের কাজ অসাধারণ ছিলো। দৃশ্য গুলো দেখার সময় এক মুহুর্তের জন্যও চোখ সরানো যায়না স্ক্রিন থেকে। তাছাড়া কাস্টের প্রতিটি মেম্বার নিজেদের সেরাটুকু দিয়েছেন। Evelyn চরিত্রে Michelle Yeoh-কে মোক্ষম লেগেছে। Evelyn এর প্রথমে দ্বিধাগ্রস্ততা ও পরে গিয়ে দৃঢ়তা এবং নিজের উপর বিশ্বাস প্রতিটি স্টেজ ধাপে ধাপে দেখানো হয়েছে এবং Michelle Yeoh খুবই চমৎকার ভাবে এই চরিত্রের ডেভেলপমেন্টটা অভিনয়ের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন।
সব মিলিয়ে সকলের জন্য এই বছরের সেরা মুভি গুলোর একটি Everything Everywhere All at Once মুভিটি দেখার জন্য রিকমেন্ডেশন রইল। যারা দেখেছেন তারা অবশ্যই জানাবেন যে কেমন লাগলো এই চমৎকার সিনেমাটি।
৫. After Yang
শেষ কবে একটা সায়েন্স ফিকশন ফিল্ম কে "Heartbreaking "বলতে পেরেছিলেন?
একদিন হুট করে বাসার Humanoid রোবট , যার নাম Yang, নষ্ট হয়ে গেল। কোম্পানি থেকে বলা হল আর কোন উপায় নেই ঠিক করার। যখন সব আশা শেষ মনে হচ্ছিল তখন জানা গেল , Yang এর একটা মেমোরি বক্স ছিল। তার মানে তার পুরো জীবনের সবচে প্রিয় মুহুর্ত গুলো Yang রেখে গেছে তাদের জন্য।
পরিবারের একজন সদস্য যখন আর থাকেনা,তখন বাকীরা নিজেদের মত সেই শূন্য জায়গাটা ভুলে থাকার চেষ্টা করে। Yang শুধু রোবট না, সে বাসার ছোট্ট মেয়েটার আপন ভাইয়ের মত, পরিবারের ছেলে ও সে। তার অনুপস্থিতি ঠিকই পুরো পরিবারে দাগ ফেলে যায়।
গল্পের শুরুর দিকটা বেশ ধীর এবং সংলাপ বহুল। কিন্তু মাঝের টুইস্টের পর ধীরে ধীরে পুরো মুভিটা যেন বুকের উপর চেপে বসতে শুরু করে। একই থিমের অনেক মুভি হলেও After Yang সম্পূর্ণ অন্য লেভেলের বলা চলে। শেষটাও ঠিক ততটাই সুন্দর, ইমোশনাল ছিলো।
Collin Farrel সম্ভবত ঠিক করেছেন একের পর এক ক্লাসিক পারফরম্যান্স দিয়েই যাবেন। পুরো সিনেমা একাই টেনে নিয়ে গেছেন পুরোটা সময় ধরে।
এই বছরের সেরা ড্রামা সিনেমাগুলোর একটা হিসাবে ধরা যায় After Yang কে। একটু ধৈর্য্য ধরে দেখতে পারলে বহুগুণে ফেরত পাবেন কাহিনী হতে। তবে ভাল গল্পের এই সিনেমাটির রেটিং এখন পর্যন্ত বেশ কম। যদিও ক্রিটিকরা ঠিকই ভূয়সী প্রশংসা করেছেন এই সিনেমার।
এখন পর্যন্ত আলোচিত এই সিনেমাগুলো না দেখে থাকলে দেখে নিন শীঘ্রই। যদি ইতিমধ্যে দেখে ফেলেন তবে আপনার মতামত জানাতে পারেন। নিয়মিত এমন কিছু রিভিউ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।