ইন্টারনেটবিহীন যোগাযোগের ৫ অ্যাপ
প্রযুক্তির বিপ্লবে মানুষের যোগাযোগ মাধ্যমগুলো হয়ে গেছে ইন্টারনেট নির্ভর। তবে অনেক সময় ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলে বা দুর্যোগের সময় যোগাযোগের বিকল্প পথ খুঁজে বের করাটা জরুরি হয়ে দাঁড়ায়। ইন্টারনেটবিহীন দীর্ঘ দূরত্বে যোগাযোগের মেসেজিং অ্যাপ সাধারণত নেই। তবে ব্লুটুথ বা ওয়াইফাই পরিচালিত বেশকিছু অ্যাপ জরুরী পরিস্থিতিতে ইন্টারনেট ছাড়া স্বল্প দূরত্বে যোগাযোগের জন্য সহায়ক হতে পারে।
ফায়ারচ্যাট (FireChat):
ফায়ারচ্যাট হলো একটি ব্লুটুথ এবং ওয়াইফাই পরিচালিত মেসেজিং অ্যাপ। এটি ইন্টারনেট ছাড়াই ব্যবহার করা যায়। ফায়ারচ্যাটের মাধ্যমে আপনি ২০০ ফুট দূরত্বের মধ্যে থাকা অন্যান্য ফায়ারচ্যাট ব্যবহারকারীদের সঙ্গে মেসেজ আদান-প্রদান করতে পারবেন। দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় বা জনসমাবেশে এটি বেশ কার্যকর।
ব্রিজফাই (Bridgefy):
ব্রিজফাই অ্যাপটি ব্লুটুথের মাধ্যমে কাজ করে এবং এর জন্য ইন্টারনেট সংযোগের প্রয়োজন হয় না। অ্যাপটি মূলত মেশ নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে, ফলে একাধিক ডিভাইসের মাধ্যমে দূরে থাকা মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়। জরুরী অবস্থা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, খেলাধুলা বা কনসার্টের সময় এটি বেশ জনপ্রিয়।
ব্রায়ার (Briar):
ব্রায়ার অ্যাপটি একান্ত নিরাপত্তা এবং ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা বজায় রেখে মেসেজিং সেবা প্রদান করে। এটি ব্লুটুথ, ওয়াইফাই ডিরেক্ট এবং টর নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে। রাজনৈতিক কর্মী, সাংবাদিক এবং যাদের নিরাপত্তা গুরুত্বপূর্ণ, তাদের জন্য ব্রায়ার বেশ উপযোগী।
জোম (ZOM):
জোম একটি নিরাপদ মেসেজিং অ্যাপ যা ইন্টারনেট ছাড়াই টর (Tor) নেটওয়ার্ক এবং মেশ নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে কাজ করে। অ্যাপটি বিনামূল্যে এবং ওপেন সোর্স, ফলে আপনি নিজের মতো করে এটি কাস্টমাইজ করে নিতে পারেন। নিরাপত্তা ও গোপনীয়তার জন্য এটি বেশ জনপ্রিয়।
হাইক মেসেঞ্জার (Hike Messenger):
হাইক মেসেঞ্জারের Hike Direct ফিচারটি ব্লুটুথ বা ওয়াইফাই ডিরেক্টের মাধ্যমে কাজ করে। এটি ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই স্থানীয়ভাবে মেসেজ আদান-প্রদান করতে সক্ষম। হাইক অ্যাপটি মূলত ভারতে জনপ্রিয় এবং এর মাধ্যমে অফলাইন মেসেজিং সহজতর হয়। নির্দিষ্ঠ অঞ্চলের সবাই যদি একই অ্যাপ ব্যবহার করেন তবেই অফলাইনে যোগাযোগ বজায় রাখা সম্ভব।